সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে একই পরিবারের চার সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন মহিলা ও তিনজন শিশু। ১২ সদস্যের পরিবারের চার জনেরই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
ওই পরিবারের এক আত্মীয় জানালেন, এর আগে পরিবারের তিন সদস্য মারা গেছে করোনাভাইরাসে। সর্বশেষ, বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের আরও এক সদস্য মারা গেছেন।
ভিনসেন্ট ফুসকো নামের ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সকালে একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বোন এলিজাথে ফুসকো এবং তার আত্মীয় ও অ্যাটর্নি জেনারেল রোসেআন প্যারাডিসকো ফোদেরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আত্মীয়দের সঙ্গে রাতের খাবারে অংশ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন ওই ব্যক্তি।
এর আগে ভিনসেন্টের মা গ্রেস ফুসকো (৭৩) বুধবার রাতে মারা যান করোনায়। তার কয়েক ঘণ্টা আগে মারা যান তার বড় ছেলে কারমিনে ফুসকো। কারমিনে ছিলেন এক ঘোড়া দৌঁড় প্রশিক্ষক। পেনসিলভানিয়ায় তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনসেন্টের বোন রিটা ফুসকো-জ্যাকসন (৫৫) মারা যান গত শুক্রবার। ভিনসেন্টর মা যখন মারা যান, তখন তিনি জানতেই না যে, তার দুই সন্তান এরই মধ্যে পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিয়েছে।
সিএনএনকে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা বর্ণনা করে ভিনসেন্টের ছোট বোন এলিজাবেথ বলেছেন,’সবই ছিল অবিশ্বাস্য। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে আমি ঘুম থেকে উঠি। তখন মা আমাকে ডেকে বলে, লিজ্জি, আমার ভালো লাগছে না। রিটারও একই অবস্থা। টনির অবস্থাও একই। তুমি কি আমাদের সাহায্য করতে পারবে?, আমি বললাম অবশ্যই মা।’
১০ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ-এই নয় দিনে করোনা কেড়ে নিয়েছে এলিজাবেথের মা, দুই ভাই ও বোনের প্রাণ। আর ফোনেই মৃত্যুর সব সংবাদ পান তিনি। এখন ফোন ধরতে ভয় পান এলিজবেথ। কারণ এখনও তার দুই বোন ও এক ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি জানিয়েছেন, এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং একজনের অবস্থা স্থিতিশীল।
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মারাত্মক সংক্রামক কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ১৭৯টি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ১০ হাজার ৬২ জন। প্রতি মুহূর্তে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৬৬ জন এবং মারা গেছে ২১৭ জন।